আইএসবধূ শামীমাকে বাংলাদেশে নাগরিকত্ব চাওয়ার পরামর্শ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৪০

শামীমা বেগম। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত।
গতকাল শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেয়া রায়ে আদালত বলেছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের ফলে শামীমা বেগম রাষ্ট্রহীন হয়ে যাননি। তার মা-বাবা বাংলাদেশি বলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।
এদিকে এরফলে লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসবধূ হওয়া শামীমা তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার প্রথম ধাপে হেরে গেলেন। তার বয়স এখন ২০ এবং আইএসে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে লন্ডন ছেড়েছিলেন তিনি। চার বছর পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ গতমাসে তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে আবেদন করে শামীমার আইনজীবী তাকে দেশে ফিরতে দেয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন।
তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার কাজ হয় এমন আংশিক-গোপন আদালতে একটি ট্রাইবুনাল রায় দেয়, যেহেতু শামীমা রাষ্ট্রহীন অবস্থায় নেই, তাই তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া যাবে।
সেই বিশেষ 'ইমিগ্র্যান্ট অ্যাপিলস কমিশন' মন্তব্য করেছে, শামীমা বাংলাদেশে নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। তিনি ‘বংশগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক’। নাগরিকত্ব বাতিলের কয়েক বছর আগেই শামীমা স্বেচ্ছায় যুক্তরাজ্য ছেড়ে গেছেন। ফলে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে তিনি যুক্তরাজ্যের বাইরে অবস্থান করছেন- বিষয়টি এমন নয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনো নাগরিক যদি পুরেপুরি রাষ্ট্রহীন হয়ে থাকে তাহলে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া অবৈধ।
শামীমা তার মায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের আবেদনও করার চেষ্টা করেছিলেন।
তবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক নন ও তাকে 'কোনোভাবেই' বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, শামীমা বেগম যদি বাংলাদেশে গিয়ে হাজির হয়, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।
শামীমাও বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই ও তিনি কখনো বাংলাদেশে ছিলেন না।
তিনি বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ‘রজ’ নামের একটি শরণার্থী শিবিরে আছেন। -বিবিসি